Responsive Advertisement

মুআয বিন আনিসের দুটি কবিতা





পুরানা কোরাস

জীবনে কয়েকটা ঈদ ছিল আমার। একদিন বয়সের কাছে হার মাইনা কই জানি সেগুলা হারায় গেছে। 


এখনও এইখানে কীসব ঈদ জানি আছে। নাই ঈদের জৌলুশ। হায়রে, আছে খালি বুকে ফিলিস্তিনের ব্যথা!

*


এক কোনো ঈদে, বিলপাড়ে ঘুরতে গিয়া, পেকে মাইখা যাওয়া জোব্বাটা দেইখা মন খারাপ হইছিল খুব। বহু দিন পর আজ জানতেছি, ঈদ মানে সেই মন খারাপ হওয়াটাই ছিল। 

*


আগের দিনের লাহান এখনও তো বিকেল হয়, চানরাইতের বাঁকা-চিকন ধূসর রঙের চাঁদটা আবার দেখা দেয়, সমূহ স্মৃতি কান্ধে নিয়া, আমি যখন তার দিকে তাকাই, মনে হইতে থাকে আমার পিতার মলিন মুখটা, মনে হইতে থাকে আমার মায়ের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া কোমর বেদনাটা!

*


কোথাও ঈদের টুপি নাই। কোথাও ঈদের পাঞ্জাবি নাই। যা দেখতেছি, সবই তো ভুলে রাইখা আসছিলাম, উনতিরিশে রমজানের একটা বোকাসোকা ইফতারিতে, বন্ধুদের কাছ থিকা কাইড়া নেয়া তিনটা খেজুরে।

*


স্মৃতি ও স্মৃতি বোধে কোনো ঈদ আটকায়ে থাকে না আজকাল। আমি তো করুণ হাইসা সব সময়ই বইলা আসতে ছিলাম, ঈদের কোনো স্মৃতি হয় না, কেবল বেদনা ছাড়া।



৩০. ৩. ২৫

এলোমেলো আকাশ

শিরিস গাছে উড়তেছে পাখি-

আমি ডাকি– ও পাখি ও পাখি

নদী শুকায়ে গেছে নাকি

কালের কপোলতলে?

*


যে আমারে বলে। সুন্দর কথা

সবুজ পাখির মতন, যেইখানে

মিশে থাকে নিপুণ নতুনতা

সে আমার কেউ না, শুধু বাতুলতা।

*


বঙ্গোপসাগর থেকে সুনন্দা-

আসতেছে নতুন ঘ্রাণ। 

আমি বেঁচে নেই, হে দুনিয়া

ডুবায়ে দিয়েছে অচেনা

আমার মন। আমার প্রাণ।

*


দুপুর এলে আমি জেনে নিই–

এখন বড্ড ক্লান্তি বেলা

বিকেল আসার আগেই–

হারিয়ে যায় রাত্রিবেলা

*


এখন মিশর হতে, দেখো

বইমেলার মতো সুন্দর জ্যোতি–

হে দেখো একুশ, সুশীল দেখো

সভ্যতার সোনালী-শুভ্র বিভূতি!

মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

নবীনতর পূর্বতন