বিষাদের বহুবচন
যে লাবণ্যরেখা পার হলে পৌঁছানো যায় জীবন থেকে জীবনান্তের দিকে, তার নাম মৃত্যু। আমি হয়তো সে রেখার খুব নিকটবর্তী। হয়তো আমি হারিয়ে যাচ্ছি দূরে কোথাও অথবা খুব নিকটে, লোকালয়ের ভিড়ে কিংবা সময়ের অন্তর্গত অন্ধকারে; যেখানে মানুষ যায় না বা যেতে পারেনা। পৃথিবীতে বাড়ছে অযথা মানুষের ভীড় আর মানুষের মনে বানোয়াট সুখের জগদ্দল অভিসম্মাৎ। দৈনিক পত্রিকার মতো মূল্যহীন হয়ে পড়ছে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত।
সত্যিকারার্থে আমি বর্তমান উচ্ছলতা উপেক্ষা করে নিঃসঙ্গতাকে দারুণভাবে উপভোগ করতে চাই। এমন কোথাও যেতে চাই যেখানে নীরবতাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে পারব নিজের মতো করে। কিন্তু আমার জীবনের কোনো আয়োজনই কেন যেন বাক্সময় নয়।
সব আয়োজনের কপালেই লেপ্টে থাকে ব্যর্থতার গøানি আর অপূর্ণতার ছাপ। জীবনের নির্মম বাস্তবতাগুলোর সাথে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি “আজাদির লড়াই”।
দীর্ঘ, ক্লান্তিকর আর এক ঘেয়ে এই জীবনযাপনে বিরক্ত হয়ে পড়েছি। এবার তাতে যোগ করতে হবে কোন ভিন্নমাত্রা; নিয়ে যেতে হবে উন্নতির চরম শিখরে। মাঝে মাঝে মনে হয় সময়ের যত বিধূরতা আর পরিবেশের যত বিরূপতা সব হয়তো আমার জন্যই নির্ধারিত ছিল। ইদানীং সুফিবাদ চর্চার মাঝে ব্যস্ত সময় পার করি; অচিরেই হয়ে উঠব হুসাইন ইবনু মনসুর হাল্লাজের প্রকৃত অনুসারী। আমার যবানকে জর্জরিত করবো “আনাল হক্ব” -র মর্মভেদী ধ্বনিতে। পৃথিবীর বায়ু আমার জন্য অনুপযোগী হয়ে উঠেছে, অচিরেই প্রস্থান করতে হবে মহাকালের দিকে। আমার রুহ জান্নাত বা জাহান্নামের অতিথি হয়ে যেতে থাকবে বিচারদিনে। দেহখানি নিথর পড়ে থাকবে বন্ধুবান্ধবের আফসোসের অনুশোচনায়...!
আর আমার বিষাদগুলো রূপ নিবে বহুবচনে..
কোন মন্তব্য নেই