অজ্ঞ য়িহুদী। যার গাধার গলে গাঁদাফুল বেশ মানিয়েছে
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাহু দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন তার পরম সৃষ্টজীব প্রাণীকুলের জন্যে। প্রাণিজগৎ বসবাসের উপযোগী দুনিয়া, ওকূল থেকে একূল গ্রথিত করেছেন তিনি। প্রতিটি বস্তু তৈরি করেছেন জীবশ্রেষ্ঠ মানবকুলের কল্যাণে। এতে সাব্যস্ত হয় পৃথিবীর বিন্দু মাটি থেকে সিন্ধু, সাগর যাবতীয় সবকিছু জীবশ্রেষ্ঠ মানুষের অধিকারে। আন্তরিক অভিলাস এ অধিকার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। ভূমি ও ভূখণ্ড খন্ড খন্ড করে থাকতে চায়। আপন মনোবাসনা পূর্ণতার লক্ষ্যে নিজ অধিকার অধীন করে নিতে চায়। এ-তো মানুষের প্রবৃত্তি। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই বিশেষণের স্রষ্টাও তিনি। মনোবৃত্তি ও প্রবৃত্তির কর্মসম্পাদনের প্রারম্ভিকা বা উৎস। মস্তিষ্ক এ বৃত্তি পছন্দ করলে আনন্দিত ও সন্তুষ্ট হয়। আর তার অপছন্দ হলে হয় বিমর্ষ ও হতাশ। এই মনোবৃত্তির পক্ষে কর্মসম্পাদন কালে মানব সত্তার মাঝে ফেরেশতা প্রকৃতি বা পশু প্রকৃতি পরিলক্ষিত হয়। এবং পশু প্রকৃতির বিপরীতে ফেরেশতা প্রকৃতি ও ফেরেশতা প্রকৃতির বিপরীতে পশু প্রকৃতি অধীন ও দুর্বল হয়ে যায়। এই দিকে ইঙ্গিত করেই নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'মানুষের প্রবৃত্তি যখন কিছু অভিলাষ করে, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেটিকে বাস্তবায়িত করে কিংবা ব্যর্থ করে দেয়।' এই অভিলাষ, ভূমি-ভূখণ্ডের এ প্রত্যাশা, মানব আশাকুলের একটি। এটি বাস্তবায়িত করার জন্য দেশ দেশকে, শহর শহরকে, অঞ্চর অঞ্চলকে, বংশ বংশকে, সবশেষে মানুষ মানুষকে গ্রাস করে ফেলছে- নির্দ্বিধায় গিলে ফেলছে। একে অপরের অধিকার খর্ব করতে দ্বিধা করছে না। জীবন্ত ও জ্যান্ত একজন মানুষের প্রাণও কেড়ে নিতে কুন্ঠা করছে না! এখন, এজন্য কি সৃষ্টিকর্তার প্রতি দোষারোপ করব? কারণ এহেন মনোবৃত্তি তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন। বিষম খেলাম। একটি বিষয় বোধগম্য হলে বোঝা যায়, কে নির্দোষ আর দোষ করে।
মানুষের স্বভাব হলো দুই ধরনের। এক, সহজাত স্বভাব। যে স্বভাব নিয়েই মানুষ ধরার আলো দেখে। দুই, প্রাকৃতিক স্বভাব। যা ইচ্ছে করলেই পরিত্যাগ করা যেতে পারে। এ প্রকৃতিও এমনই পরিত্যায্য। প্রতিপ্রশ্ন হলো- ভূমি দাখিলানার এক মানুষ আরেক মানুষের অধিকার খর্ব করে, নাকি নিজ অধিকার নিজে রক্ষা করে! বলি কি, মনুষ্য প্রকৃতিতে নৈতিকতার পরিগ্রহ করা আবশ্যিক না হোক, মনুষ্যত্ব কি না? এটা কি নৈতিকতা না, মানুষ ভাববে, সে সম্পত্তিতে মনুষ্য অধিকার পরিব্যপ্ত, সে সম্পত্তি বাঁটন করে একসঙ্গে ভোগ করা বাঞ্ছনীয়! বাঁটন-বন্টন পৈর্তৃকসম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রেই হবে; ক্ষেত্র পরিবর্তন হলে তার কথা উচ্চারণও করা হবে না, এ কেমন কথা! উদাহরণস্বরুপ ফিলিস্তিন ও ইসরাইল। উভয় ভূখণ্ডেরই অধিকারী উভয় ভূখণ্ডের অধিবাসী। অর্থাৎ ইসরাইলের য়িহুদীদের অধিকার আছে ফিলিস্তিনের মাটিতে যেমন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের অধিকার আছে ইসরাইলের মাটিতে। এবার দেখুন, ওদের নৈতিকতা। মুসলমানরা বিশ শতকের শুরুর দিকে য়িহুদী মানুষ্যজাতিকে কিছু মাটি দিয়েছিল। দান অনুদান না; অনুগ্রহ করে। অধিকার পরিব্যপ্ত সম্পত্তির অধিকরণ পদ্ধতি মনুষ্যজাত য়িহুদীদের অজ্ঞাত, তাই কয়েকটা যুগ অতিক্রম হল আর তাদের সে অজ্ঞতা প্রকাশ পেল। যা নর্দমার অখন্ড শৈবালেরও অধম। আমাদের ফিলিস্তিনের অনুগ্রহদাতারা কোন মাটির ছিল সে অনুসন্ধানটিও বাঞ্ছনীয়। কেন কেউ...
নীতি-নৈতিকতাবিহীন মানুষ্যত্বহীন খোলসমুক্ত সাদা তৈলপক সদৃশ য়িহুদী দাঁতযুক্ত লম্বা পা দিয়ে এক জায়গায় সেঁটে গেল। কয়েকদিন আগে ফিলিস্তিনের হামাস মুজাহিদদের প্রতি সংহতি জানিয়ে, যারা কেবল আল্লাহর রাহে নির্ভীক ও স্বত্বত্যাগী যোদ্ধা। স্বশস্ত্র মুজাহিদ বাহিনী লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইসরাইলের প্রতি সর্বাত্মক আক্রমণ করে। পত্রপত্রিকায় ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে লেবানন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি এসেছে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস যুদ্ধ বন্ধের ‘আহ্বান’ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই যদি সকলের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতা স্বীকার করে নেই, তবেই এই যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব।’ সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতা! সার্বভৌমত্ব ও অবাধ কর্তৃত্বই ইসরাইলের বাহক। যা পরের দেয়া ভর-লাঠি।
যে লাঠি হারিয়ে গেলেই হামাগুড়ি দিয়ে পালানো শিখতে হবে ইসরাইলকে! আর ভৌগোলিক অখণ্ডতা যা তিনি মেনে নিতে বলেছেন! অথচ তিনি জানেন যে, অপরের জন্য কোনো ভূমির অখন্ডতা মেনে নেয়া যায় না; এর সীমানার অপরিবর্তন আবশ্যিক হয়। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডেরও একটি সীমানা আছে। যে সীমানায় অন্য ও অপর মানুষ ঢুকে গেছে। এখন বলা হচ্ছে, অন্যের জন্য যে জমি খন্ড করা হয়েছে, তার অখন্ডতা সম্ভব না। অতএব অখণ্ডতা স্বীকার করে নাও ও মেনে নাও। গাধার গলায় গাঁদাফুল বেশ মানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই