মানুষ দু’ ধরনের। একধরনের মানুষ সদা প্রসন্ন, আরেক ধরনের মানুষ সদা বিষণ্ন। বিষণ্ন মানুষদেরও হাসিখুশি প্রসন্নময় দিন ছিল। জীবন থেকে তার সে দিনগুলো অতিক্রান্ত; অতিবাহিত হয়ে গেছে। এ মানুষটির কাছে এখন জীবনকে নিছক বস্তুর মত মনে হয়। সে তার জীবনকে তার পর্যাপ্ত ‘আহার্য’ দিতে অক্ষমতা বোধ করছে। না ‘খেয়ে-খেয়ে’ তার জীবন যেন এখন আর বেঁচে নেই। সে নিজেকে মৃত বলে জ্ঞান করতে শুরু করে দিয়েছে।
আচ্ছা, জীবনের কিছু পূর্বাবস্থার আলোচনা কি কোনো জীবতত্ত্ববিদ করে গিয়েছেন? যদি করে থাকেন, তাহলে কি কি বিষয় তার সে আলোচনায় স্থান পেয়েছে? প্রথমত, হয়ত তিনি এর মহান স্রষ্টার পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী? তৃতীয়ত, এর শেষ কোথায়? সে সম্পর্কে।
প্রতিটি জিনিসের আবিষ্কারক তার আবিষ্কার সম্পর্কে সম্যক অবগত যে, এর করণীয় কী ও এর বর্জনীয় কী। যখন তার আবিষ্কৃত বস্তু অমার্জনীয় বর্জনগুলো বরণ করে নেয়। তখন পরিণতি হিসেবে সে বস্তুর অবসান ও শেষ-অন্ত তো নিশ্চিত।
কেননা সে আবিষ্কৃত হয়ে আবিষ্কারকের আর্চনার পরিবর্তে অবমাননা করছে। তেমনি জীবনও তো একটি সৃষ্টি। স্রষ্টার বিবৃত নিয়ম অবলম্বনে এর পরিচালনা ও যাপন করাই তো স্রষ্টার দাবি। যখনই এর সাংঘর্ষিক কোন কার্য দ্বারা এর অপপরিচালনা করা হবে তখন তো এর মাঝে নির্লিপ্ততা আসক্তিহীনতা ও বিষণ্নতা প্রবেশ করে একে প্রাণশূন্য করে ফেলবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য লিখুন